নিজস্ব প্রতিবেদক
মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বামন্দী বাজার এলাকার প্রবাসী এনাজুল হক এর বাড়ী ঘর ভাংচুর ও অবৈধভাবে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হাজী মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায়া ভূক্তভোগী প্রবাসী এনাজুল হক মেহেরপুর। এনাজুল হক, পিতা-মৃত হাজী আসাদুল হক, গ্রাম- বামন্দী ক্যাম্প রোড, ডাকঘর-বামন্দী, থানা-গাংনী, জেলা-মেহেরপুর। আমি প্রবাসে থাকাকালীন অবস্থায় আমার পরিবার পরিজনদের কাছ থেকে জানতে পারি যে, আমাদের ওয়ারিশ সূত্রে ও ক্রয় সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করার জন্য চেষ্টা করে আমার প্রতিবেশীরা। আমি বিগত ১২/০৬/২০২৪ ইং তারিখে নিজ দেশে আসি এবং ১৫/০৬/২০১৪ ইং তারিখে নিজ বাড়ীতে আসি। আমি প্রবাসে অবস্থানরত অবস্থায় আমার দুই ভাইকে মারধর করে এবং আমাদের বসত ভিটার সীমানার ভিতরে জবর দখল ভাবে সীমানা খুঁটি স্থাপন করে বিগত ২০/০৬/২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকার সময়। আমি হাজী মতিয়ার রহমানের সাথে আলোচনা করে খুঁটিটা উঠায়ে ফেলি, এ সম্মতিতে আমরা বলি আইন অনুসারে কাগজ পত্র উপস্থাপন করে আপনি আপনার সীমানা নির্ধারন করেন। পরবর্তীতে সে তার ভাই-ভাইস্তিদের ডেকে আমাদের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয় এবং হুমকি ধামকি দেয়। আমাদের বাসার সিকিউরিটির জন্য ওয়াল দেওয়া, সি সি ক্যামেরা লাগানো ও ইলেকট্রিক লাইন দেওয়া, মিটার স্থাপন করা ইত্যাদি কাজে আমাদের বাঁধা প্রদান করে আসিতেছে। প্রতিবেশীরা হাজী মতিয়ার রহমান, এনামুল হক, সালাউদ্দীন, মোমিনুল হক, সর্ব পিং-মৃত মকবুল হোসেন, সর্ব সাং-বামন্দী ক্যাম্প রোড, থানা-গাংনী, জেলা- মেহেরপুর সহ আরও অজ্ঞাতনামা অনুসারীরা চড়াও ও মারমুখী আক্রমন ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে আসলে পথচারী লোকজন ও বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প আইসি সঙ্গীয় ফোর্সসহ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ফেসবুক লাইভে এসে সুইট আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে প্রবাসী সন্ত্রাসী বলে এবং আমাকে মুঠো ফোন দিয়ে আঘাত করে এবং হাজী মতিয়ার রহমান প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন যে, আমাদের ঘর বাড়ী বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিবেন। এও বলে যে, তোদের পায়ের নিচে মাটি রাখব না। আমি আমাদের বাড়ীর দোকানের সামনে পরিচিত লোকজনদের সাথে আলাপরত অবস্থায় সুইটের আদেশে আশরাফুল ইসলাম, পিতা-মৃত দুলু মিয়া, সাং-বামন্দী, থানা-গাংনী, জেলা-মেহেরপুর সাথে আরও অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসী আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তৎক্ষনাৎ আমি আমার বাড়ীর ভিতরে চলে আসি। আরও আশরাফুল ইসলাম সবসময় আমাকে ও আমাদের পরিবারের সকলের চলাফেরাকে পর্যবেক্ষণ করে। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যগণ তাদের অত্যাচার বা ভয় ভীতিতে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করিতেছি। যেকোনো সময় আমাদের পরিবারের উপর প্রাণনাশের আশঙ্কা করিতেছি। আমাদের প্রতিবেশী হাজী মতিয়ার রহমান ও আশরাফুল হক বাবু, সর্ব পিতা-মৃত মকবুল হোসেন, গ্রাম-বামন্দী ক্যাম্প রোড, ডাকঘর-বামন্দী, থানা-গাংনী, জেলা-মেহেরপুর। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগিতেছি। এমতাবস্থায় আমি মেহেরপুর জেলা পুলিশ বরাবর রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষার্থে আবেদন করি।
এমতাবস্থায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুবিচারের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।