মাসুম বিল্লাহ, স্পোর্টস ডেস্কঃ অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল বা বিসিবির প্রধান কোচ হিসেবে ইতি ঘটল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। তার পরিবর্তে দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও প্রখ্যাত বিশ্বকাপজয়ী কোচ ফিল সিমন্স। এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। জাতীয় দলের স্পিনার নাসুম আহমেদকে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে চড় মারাসহ একাধিক ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে হাথুরুকে শোকজ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৪৮ ঘণ্টার মাঝে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার জবাবের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো মনোনীত হন হাথুরুসিংহে। যদিও এ সময় বারবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে এসেও চাকরি বাঁচাতে পারেননি তিনি, বরং চাকরি হারানো কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে মাত্র। ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে দেশে ফেরার পর হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে তাকে চাকরীচ্যুত করল বিসিবি। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই হাথুরুসিংহে বেকায়দায় ছিলেন। তিনি অবশ্য রাজনৈতিক কেউ নন, তবে বোর্ডের আগের শীর্ষ কর্তাদের সুনজরের ছায়াতলে ছিলেন বলেই দোষত্রুটি করলেও কখনই তার কারণে দোষী সাব্যস্ত হতে দেখা যায়নি তাকে। এই হাথুরুসিংহের একরোখা স্বভাবের কারণেই ২০১৬ সালে বিসিবি ছেড়েছিলেন ফারুক আহমেদ। ফারুক এখন বিসিবি সভাপতি হয়ে ফেরার পর থেকেই তাই নড়বড়ে হয়ে ওঠে, সমালোচিত ও বিতর্কিত এই কোচের চাকরি। একারনে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই হাথুরুকে বিদায় বলা হলো। নতুন করে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই বছরেই তিনি নির্ধারিত ছুটির চেয়ে অতিরিক্ত ছুটি কাটিয়েছেন, যেখানে ছিল না কোনো আনুষ্ঠানিকতার বালাই। বিষয়টিকে বোর্ড দেখেছে আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে। তার উপর হাথুরুর বিরুদ্ধে সিনিয়র ক্রিকেটারদের রোষানলে ফেলা, দলের জুনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে খারাপ ব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ADVERTISEMENT নতুন কোচ সিমন্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত।