গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিবন্ধন নাম্বার ৬৮
মোঃ কামরুজ্জামান, লামা-আলীকদম(বান্দরবান): পার্বত্য লামা-আলীকদমে "শান্তি বাহিনী নির্মুলে মুরুং বাহিনীর অবদান" এক ইতিহাসের নাম।লামা-আলীকদমের প্রজন্ম এক কালের গৌরবময় এ বাহিনীর ইতিহাস জানতে হবে। বর্তমানে এই বাহিনী কেমন আছে, সংগঠিত আছে কিনা? ধারাবাহিক লেখায় আজকের পর্বে থাকছে এ সব বিষয়। মুরুং বাহিনীর বর্তমান অবস্থা কি? তার উত্তর হতাশা ব্যঞ্জক। মুরুং বাহিনীর হারানো ঐতিহ্য ও জৌলুস এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না বা নেই বললে চলে। তারপরেও কতিপয় উদ্যমী, ত্যাগী ও দেশপ্রেমিক মুরুং যুবকরা মুরুং বাহিনীর নামটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে সদা তৎপর। কিন্তু অবহেলা, উদাসীনতা, সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ও বঞ্চনার কারণে এখনকার মুরুং বাহিনী তেমন সুসংগঠিত নয়। কয়েক বছর আগেও আলীকদমে মুরুং বাহিনীতে ১৭৭ জন সদস্য ছিল। মুরং কমান্ডার লাংড়ি মুরং মৃত্যুর পর এবং পালে কমান্ডারদের খোঁজ না নেয়ায়, লামা উপজেলায় মুরুং বাহিনীর কার্যক্রম বিলুপ্তি প্রায়। বিগত দিনগুলোতে মুরুংদের নিয়ে বার্ষিক সম্মেলন হলেও এখন লামা উপজেলায় মুরুং সম্মেলন হচ্ছে না। তবে প্রতিবছর আলীকদমে সেনা জোনের সহায়তা ‘মুরুং সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যার ফলে আলীকদমে বাহিনীর সক্রিয় কার্যক্রম না থাকলেও এর অস্তিত্ব এখনো বিলুপ্ত হয়নি। আলীকদম মুরুং বাহিনীর কমাণ্ডার বাবু মেনদন বলেন, মুরুং বাহিনীকে ধ্বংস ও এ সম্প্রদায়ের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি আঞ্চলিক উপজাতীয় রাজনৈতিক সংগঠন তৎপর রয়েছে। ফলে যে মুরুং সম্প্রদায় এক সময় বাহিনী গঠন করে জেএসএস সন্ত্রাসকে লামা-আলীকদম থেকে সমুলে উৎখাতে সাহসী ভূমিকা রেখেছিল, সে মুরুং বাহিনী এখন অবহেলার কারণে ওদের কাছে আশ্রয় নিয়ে তাদেরই বিভিন্ন সভা-সমিতিতে যোগদানসহ তাদের নেতৃত্বে নাম লেখাচ্ছে(!)। অনেকেই জড়িত হয়ে পড়ছে ঐ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে। আলীকদম মুরুং শিক্ষানুরাগী নেতা ইয়ংলক বলেন, পরিতাপের বিষয় যে, বর্তমানে লামায় সংগঠিত কোন মুরুং বাহিনী নেই। ফলে ‘লামা মুরুং কমপ্লেক্স’টি পূর্বের ন্যায় স্থানীয় মুরুং সমাজের উন্নয়নে কর্মতৎপরতা চালাতে পারছেনা। এক্ষেত্রে মুরুং বাহিনীর প্রতি বঞ্চনার চিত্রও ফুটে উঠে। মুরুং বাহিনীর প্রতি বঞ্চনা অব্যাহত থাকলে হয়ত এক সময় এ বাহিনীর অতীত অবদান পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে না। তাছাড়া সাহসী এই বাহিনীটি বিপথে পরিচালিত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এখানে আরো উল্লেখ্য যে, মুরুং সম্প্রদায় বর্তমানে খ্রিষ্টান মিশনারীদের ধর্মীয় আগ্রাসনের টার্গেটে পরিণত হওয়ায় তাদের ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সামাজিক পরিবেশ দিন দিন বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে। এই বাস্তবতায় মুরুং সম্প্রদায়ের বর্তমান প্রজন্মকে, সন্ত্রাস নির্মুলে তাদের অতীত ঐতিহ্য স্মরণ করে দেয়া প্রয়োজনীয় উদ্যাগ নিতে হবে। চলবে.....
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital