গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিবন্ধন নাম্বার ৬৮
বাউফল প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর বাউফলে এমপিও ভুক্ত 'পূর্ব ইন্দ্রকুল ফেরেজা কামাল' বালিকা দাখিল মাদ্রাসার বিরুদ্ধে নাটকীয় কায়দায় মাদ্রাসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন অনিয়ম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নেই শিক্ষার্থী ও শ্রেণি কার্যক্রম অথচ উত্তোলন করা হচ্ছে সরকারি বেতন। এ যেন এক ধরনের প্রতারনা। আসলে শিক্ষা অফিস কি এদের নজরদারি করে না কিভাবে দীর্ঘ ১৯টি বছর এভাবে চলছে ওই প্রতিষ্ঠান, এই ছলছাতুরীর অবসান কবে ঘটবে এমনটাই প্রশ্ন সুশীল সমাজের।
গত ২৩ মে সকাল ১০.৩০ মিনিটের দিকে ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গেলে দেখা যায় মাদ্রাসার বারান্দা ও শ্রেণি কক্ষে ছাগল ঘুমাচ্ছে। প্রথমে পাওয়া যায় নি কোন শিক্ষক -কর্মচারি।
পরে সাংবাদিকদের খবর পেয়ে ওই মাদ্রাসার সভাপতি আবদুল মোতালেব মিয়া আসেন পরে একজন শিক্ষকও আসেন।
কেন কোন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উপস্থিত নেই এমন প্রশ্নের জবাবে সভাপতি বলেন, সুপার অফিসিয়াল কাজে গেছেন। অন্যান্য শিক্ষক কোথায় জানতে চাইলে তার সদুত্তর দিতে পারেননি।
প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বর্নণা :
ওই মাদ্রাসার সভাপতি আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, মাদ্রাসাটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৪ সালে এমপিও হয়। ২০০৪ সাল থেকেই শিক্ষক -কর্মচারীরা বেতন পেয়ে আসছে এবং ২০০৬ সালে মিনিষ্ট্রিরি অডিট হয়। কত টাকা বেতন পান শিক্ষক -কর্মচারীরা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি (সভাপতি) বলেন, এই মাদ্রাসার ১৩জন স্টাফ দুই লাখ আট হাজার টাকা বেতন পান।
ওই মাদ্রাসার জুনিয়র মৌলভী আবদুল জলিলের কাছে শিক্ষক হাজিরা খাতা শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা দেখতে চাইলে তিনি বলেন, সুপার তার বাসায় রাখছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতির পুত্রবধূ এবং দুই পুত্র চাকরি করছেন এখানে। পুত্রবধূ মাহফুজা সুপার হিসেবে এছাড়া এক ছেলে খাইরুল ইসলাম পিয়ন এবং অন্য ছেলে সিদ্দিকুর রহমান নৈশ প্রহরী পদে কর্মরত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় ব্যক্তি বলেন, এই মাদ্রাসায় কোন শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখি না শুধু একটা পতাকা টানানো থাকে মাঝে মধ্য এবং শিক্ষকরা তাদের বাড়িতে কাজকর্ম করে কোনদিন কোনো প্রত্যাহিক সমাবেশ হয় না।
ভিতরের অবস্থা:
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্লাকবোর্ড গুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে। শিক্ষকদের জন্য কোন কক্ষ নেই। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য একটাই টয়লেট। পাওয়া যায়নি মাদ্রাসার কোন সাইনবোর্ড। নেই কোন অফিস একটি অফিস দেখানো হয়েছে তাতে দেখা গেছে একটি নোংরা টেবিল ও একটি চেয়ার, চেয়ার ও টেবিলে দেখা গেছে কবুতরের বিষ্ঠা।
শ্রেণি কক্ষে বিভিন্ন ধরনের ঘাস।
নেই কোন ফাইল, খাতা পত্র কোন আলমিরা। এমনকি সুপারের কক্ষে জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীর কোন ছবিও নেই।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা মোঃনাজমুল হোসাইন বলেন, “শিক্ষার্থী উপস্থিত না থাকলে কোন প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত থাকতে পারে না। আমরা তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠাবো।”
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital