পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় পৌর যুবলীগের সদস্য রফিক ফরাজীকে মারধর করে নগত ১৭ হাজার টাকা এবং একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রবিবার (১০ ই জানুয়ারি) আনুঃ ১০ টা ৩০ মিনিটের দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা পুলিশ বাক্স সংলগ্ন এই মারধর ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।ড় অভিযোগকারি মোঃ রফিক ফরাজী জানায়, গত ২৮ শে ডিসেম্বর কুয়াকাটা পৌর নির্বাচনের পর থেকে হোসেনপাড়া বাসিন্দা মোঃ রফিক, মোঃ হালিম, মোঃ মতিউর, মোঃ মনির, মোঃ আনোয়ার, মোঃ বায়েজীতসহ নব-নির্বাচিত মেয়রের স্বজনরা তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। অন্যথায় কুয়াকাটা ছেড়ে চলে যাবার হুমকী প্রদান করে। এমনকি তার বাড়ী ও চলাচলের পথ রোধ করে প্রান নাশের হুমকী দেয়। রবিবার রাতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তণ দিবসের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিল। চৌ-রাস্তার মোড়ে মনিরের ফলের দোকানের সামনে আসলে অতর্কিত ভাবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে এলো পাথারী কিল ঘুষি দিতে থাকে। তাদের সাথে আরও ৭-৮জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী এদের সাথে ছিল। রফিক দাবী করেন নব নির্বাচিত মেয়রের নির্দেশেই তার উপর এমন হামলা করা হয়। ১১ ই জানুয়ারি রোজ সোমবার অভিযোগ ভিত্তিতে সরেজমিনে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের আহবায়ক ইসাহাক শেখ জানান,নৌকার সমর্থক জাকির হোসেন, আবু হানিফ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ছালাম গাজী, মোঃ মোশাররফ, পৌর যুবলীগ নেতা নুরুজ্জামান সহ একাধিক নেতাকর্মিকে মারধর ও হুমকী দেয়া হচ্ছে। যুবলীগের আহবায়ক অভিযোগ করেন, হাইব্রীড ও সুবিধাভোগী কতিপয় নেতা নব নির্বাচিত মেয়রের ছত্র ছায়ায় বিএন পি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিদের উপর চড়াও হচ্ছে। এলাকা ছাড়ার হুমকী দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে নব নির্বাচিত মেয়র আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, রোববার রাতে জিরো পয়েন্টে পুলিশ বক্সে তিনি মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও,সি) মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলছিলেন। এ সময় পুলিশ বক্সের বাহিরে চিৎকার চেঁচামিচি শুনে বাহিরে বের হয়। পরে ওখানে আর কাউকে দেখা যায়নি। তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, তার কোন লোকে কাউকে মারধর কিংবা চাঁদা দাবী করেনি এবং কুয়াকাটা তার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই। এই অভিযোগ তার ব্যক্তিত্ব এবং তার সুনামকে নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (ও,সি) বলেন, রাতে তিনি পুলিশ বক্সে অবস্থান করছিলেন। এ সময় হৈ চৈ ও লোকজনের জটলা দেখতে পান। কি হয়েছে জনতে চাইলে জড়ো হওয়া লোকজন যার যার মত চলে যায়। মারধর কিংবা চাঁদা দাবীর বিষয়ে এখন তখন কেউ অভিযোগ করেনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
01868974512
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com , thana.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital