শুক্রবার (২২ নভেম্বর) আন্তবর্তীকালিন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থুরো মুরিলো এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, মোরালেসের ইন্ধনে সমর্থকরা রাস্তা বন্ধ করে বিভিন্ন শহরে খাবার প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোরালেস।
বলিভিয়ায় ২০ অক্টোবরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন ইভো মোরালেস। তবে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু করে বিরোধীরা। ১০ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দেন দেশটির প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট মোরালেস। পরদিন মেক্সিকোয় রাজনৈতিক আশ্রয় নেওয়ার পর রাজনৈতিক লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি। এরই মধ্যে ১২ নভেম্বর পার্লামেন্টে কোরাম সংকটের মধ্যে নিজেকে বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় সিনেটর জেনিন আনেজ। আর তার পদত্যাগকে সামরিক অভ্যুত্থান দাবি করে মোরালেসকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন অব্যাহত রাখে তার সমর্থকরা। তাদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দিনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুরিলো বলেছেন, মেক্সিকো থেকে পাঠানো মোরেলেসের একটি অডিও রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে প্রসিকিউটরদের কাছে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সে সময় সরকারবিরোধী এ সব আন্দোলনে মোরালেস ইন্ধন জোগাচ্ছেন উল্লেখ করে মুরিলো বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি চাচ্ছি।’ তবে ওই রেকর্ডিংকে সম্পাদিত দাবি করেছেন সাবেক ওই প্রেসিডেন্ট। এ সময় বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর বিষয়টি কেন প্রসিকিউটররা তদন্ত করছেন না সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এর আগে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট জেনিন বলেছেন, নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো দেশে আসলে বিচারের মুখোমুখি হবেন। মোরালেসের বিরুদ্ধে কোনও সামরিক অভ্যুত্থান হয়নি দাবি করেন তিনি।
আনেজ নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর তাকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বলিভিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে ওয়াশিংটন।
© 2013 All Rights Reserved By সরজমিনবার্তা
0 Comments