দেশের আইনজীবীদের অন্যতম সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (২০২৪-২০২৫) নির্বাচন আগামী ৬ ও ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
কার্যকরী কমিটির সভাপতি পদে ১টি, সহ-সভাপতি পদে ২টি, সম্পাদক পদে ১টি, কোষাধ্যক্ষ পদে ১টি, সহ-সম্পাদক পদে ২টি এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে ৭টি পদসহ সর্বমোট ১৪টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বরাবরের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে সাদা ও নীল প্যানেলের মধ্যে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন আইনজীবীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্যানেল (সাদা হিসেবে পরিচিত)। অন্যটি, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল হিসেবে পরিচিত)। দুটি প্যানেলই ইতিমধ্যে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। কার্যকরী সদস্য পদে এবিএম ইব্রাহিম খলিল,নীল প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। তার ব্যালট নম্বর ১।
ইব্রাহিম খলিল বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার সন্তান।
* স্থানীয় প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি এবং ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ’ চট্টগ্রাম হইতে সফলতার সাথে এইচএসসি এস এস উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে ‘স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি’ বাংলাদেশ হইতে এলএলবি অনার্স ও এলএলএম সম্পন্ন করে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন হতে এলএল বি অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হইতে ভিক্টোমলজি এন্ড রেস্ট্রোরেটিভ জাস্টিস (MSS in VRJ) বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী ও প্রেস ইনিস্টিউট অব বাংলাদেশ হইতে সাংবাদিকতায় পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন।
১৮ অক্টোবর ২০১৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এবং ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে এবিএম ইব্রাহিম খলিল তালিকাভুক্ত হন।
বর্তমানে তিনি যে সকল সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম-
* আইন বিষয়ক সম্পাদক (পিবজা)
* ঢাকা আইনজীবী সমিতি,
* চট্রগ্রাম আইনজীবী সমিতি,
* ভোলা আইনজীবী সমিতি,
* ঢাকা টাক্সেস বার এসোসিয়েশন, এবং
* বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের একজন নিয়মিত সদস্য।
ইতিপূর্বে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে বিজ্ঞ আইনজীবীদের ভোটে (৫মস্থান) কার্যকরী
কমিটির একজন সদস্য নির্বাচিত হয়ে
* বাজার উচ্ছেদ,
* টাউট দালাল উচ্ছেদ,
* আদালতের দুর্নীতি সহ অন্যান্য কর্মকাণ্ডে সততার সাথে কাজ করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনে নিয়মিত ‘সুপ্রিম কোর্ট’ আইন পেশায় নিয়োজিত রহিয়াছি।
এবিএম ইব্রাহিম খলিল জানান, এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ৮৮৩ জন। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও কলুষমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি জয় লাভ করবেন।